Fifty Shades of Dhaka: যখন ভুল বোঝাবুঝি পৌঁছে যায় পুলিশ পর্যন্ত!
সম্পর্ক মানেই শুধু ভালোবাসা নয়, কখনো কখনো এতে যোগ হয় একটু মশলাদার মুহূর্ত, যা সবার বুঝে ওঠা সম্ভব না। ঢাকার এক ব্যস্ত এলাকায় সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, যা একইসাথে হাসির এবং ভাবনার খোরাক।
ঘটনাটি ছিল একদম ব্যক্তিগত। একজন পুরুষ তার দুই সঙ্গিনীর সঙ্গে সম্মতিতে একধরনের রোমান্টিক ভূমিকা পালন করছিলেন—যাকে অনেকে BDSM বলে চেনেন। তাদের সেই সময়কার আবেগপূর্ণ আওয়াজ শুনে পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীরা ভয় পেয়ে যান।
চিৎকার, “আহ্ মা রে!” — শুনে অনেকে ভাবলেন কেউ হয়ত আক্রমণের শিকার হচ্ছেন! ব্যস, আর যায় কোথায়? পুলিশের হটলাইনে কল পড়ে যায়।
পুলিশ দরজা ভেঙে প্রবেশ করে যেন কোনো সিনেমার দৃশ্য—অথচ ভেতরে যা দেখল, তাতে তারা নিজেরাই কিছুটা confused ও বিব্রত! ভদ্রলোক একেবারে “রোল-প্লে” মুডে ছিলেন—চেয়ারবন্দী অবস্থায়, সম্পূর্ণ নগ্ন।
যদিও ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ সম্মতিপূর্ণ এবং ব্যক্তিগত, তবুও পুলিশ নারীদের প্রাথমিকভাবে আটক করে, কারণ প্রথমে এটা হোস্টেজ পরিস্থিতি মনে হয়েছিল। পরে সব পরিষ্কার হলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
কি শেখার আছে?
- ব্যক্তিগত মুহূর্ত উপভোগ করতেই পারেন—কিন্তু শব্দের প্রতি একটু খেয়াল রাখা জরুরি!
- উইন্ডো-ডোর বন্ধ থাকলে এমন নাটকীয়তা এড়ানো যায়।
- সেইফ ওয়ার্ড যেন চিৎকারের চেয়েও জোরে শোনা যায়!
- সম্মতি এবং নিরাপত্তা সবসময়ই প্রধান বিষয়।
উপসংহার
প্রেমের ভাষা যেমনই হোক, তা যদি সম্মতিপূর্ণ হয়, তবে সেটি একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। তবে সামাজিক বাস্তবতায় সেটিকে প্রকাশ করার সময় একটু বাড়তি সচেতনতা অবশ্যই জরুরি।
আরও সচেতনতা ও সম্পর্ক বিষয়ক লেখার জন্য পড়ুন: Happiness Life: Love & Wellness
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন